আন্ডার গ্রাজুয়েট ও মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য আউটকাম বেজড এডুকেশন (ওবিই) কারিকুলা তৈরির কাজ প্রায় সম্পন্ন করেছে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা (এমসিজে) ডিসিপ্লিন। বাংলাদেশ ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেম ওয়ার্ক (বিএনকিউএফ) এবং বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল (বিএসি) এর গাইডলাইন অনুসরণ করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে আন্ডার গ্রাজুয়েট ও মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য কোর্স কারিকুলা প্রণীত হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে এই ডিসিপ্লিনের তৈরিকৃত এ কারিকুলার বিভিন্ন দিক নিয়ে আজ ১১ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দুপুর ২টায় সামাজিক বিজ্ঞান স্কুলের কনফারেন্স রুমে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণার মূল উদ্দেশ্য হলো আদর্শ মানুষ ও দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা। সীমাবদ্ধতার মধ্যেও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ওবিই কারিকুলা প্রণয়নের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নত হবে এবং এখনাকার গ্র্যাজুয়েটরা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সক্ষমতা অর্জন করে যেকোনো স্থানে মাথা উঁচু করে কাজ করতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের নবীন শিক্ষকবৃন্দ অত্যন্ত পরিশ্রম করে ওবিই কারিকুলা চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত করেছেন তার জন্য তিনি তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এই ডিসিপ্লিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এখানকার শিক্ষার্থীরা সকল মিডিয়াতে বিচরণ করবে এবং জনমত গঠনে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

কর্মশালার টেকনিক্যাল সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবুল মানসুর আহমেদ প্রণীত কারিকুলার প্রশংসা করেন এবং আরো ভাল করার লক্ষ্যে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন। এ পর্যায়ে এই ডিসিপ্লিনের ২ জন প্রাক্তন শিক্ষার্থী মো. মতিউর রহমান, ইয়াসীন আহমেদ জীবু এবং ৩ জন বর্তমান শিক্ষার্থী মীর হাসিব, অনিরুদ্ধ বিশ্বাস এবং জান্নাতুল ফেরদৌস মীম তাদের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সামাজিক বিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. নাসিফ আহসান, আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার, বিশেষজ্ঞ সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবুল মানসুর আহমেদ এবং ইউজিসির আইকিউএসি এক্সপার্ট ও পিয়ার রিভিউয়ার প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহবুব আলী।